২৩৩৪-২১৫৪ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ
প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শাররুকিন
আক্কাদিয়ান সাম্রাজ্য
দজলা ও ফোরাত নদীর অববাহিকায় প্রাচীন ব্যাবিলনের সুমেরীয় সভ্যতার এলাকাগুলো দখলে নিয়ে এই সাম্রাজ্যের গোড়াপত্তন হয়। নমরুদ নামে যে অত্যাচারী শাসকের কথা পবিত্র কোরআন ও বাইবেলে উল্লেখা আছে তিনি এই সাম্রাজ্যের সম্রাট ছিলেন বলে জানা যায়।
২০২৫-৬০৯ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দ
প্রথম পুজুর-আশুর প্রতিষ্ঠা করেন
আসিরীয়ান সাম্রাজ্য
প্রাচীন ব্যাবিলনের কাছাকাছি গড়ে ওঠা আসিরীয় সভ্যতার আশুর শহর এক সময় ছিল আক্কাদিয়ান সাম্রাজের অংশ। পরবর্তীতে এই শহর থেকেই গড়ে ওঠে এই সাম্রাজ্য। সারগনিয়দের নেতৃত্বে পরে এই সাম্রাজ্য তার শিখরে পৌঁছে। উত্তরে তুরস্ক, দক্ষিণে সৌদি আরব, পূর্বে ইরানের পূর্ব অংশ এবং পশ্চিমে মিশরের নীল নদের অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তার ছিল আসিরীয়দের।
১৮৯৪-৫৪৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
সুমুয়াবুমকে প্রথম সম্রাট ধরা হয়
ব্যাবিলনিয় সাম্রাজ্য
প্রাচীন ব্যাবিলনের কাছাকাছি গড়ে ওঠা আসিরীয় সভ্যতার আশুর শহর এক সময় ছিল আক্কাদিয়ান সাম্রাজের অংশ। পরবর্তীতে এই শহর থেকেই গড়ে ওঠে এই সাম্রাজ্য। সারগনিয়দের নেতৃত্বে পরে এই সাম্রাজ্য তার শিখরে পৌঁছে। উত্তরে তুরস্ক, দক্ষিণে সৌদি আরব, পূর্বে ইরানের পূর্ব অংশ এবং পশ্চিমে মিশরের নীল নদের অববাহিকা পর্যন্ত বিস্তার ছিল আসিরীয়দের।
৫৫০-৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
সাইরাস দি গ্রেটের হাতে গোড়াপত্তন হয়
একিমেনিদ সাম্রাজ্য
বর্তমান ইরানকে কেন্দ্র করে গড়ে সাইরাস দি গ্রেটের হাত ধরে সূচনা হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম পরাশক্তি একিমেনিদ সাম্রাজ্যের। এই সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল পূর্বে ভারতের তক্ষশীলা থেকে পশ্চিমে নীল নদ পেরিয়ে লিবিয়া পর্যন্ত। দক্ষিণের সীমানা ছিল আরব সাগর এবং উত্তরে সীমানা ছিল কাস্পিয়ান ও কৃষ্ণ সাগর জুড়ে। এই সাম্রাজ্য থেকেই পরিণত হতে শুরু করে পারস্যের সংস্কৃতি। পার্সিপোলিস, ব্যাবিলনের মত শহরগুলো হয়ে উঠেছিল বিশ্বজনীন শহরে (কসমোপলিটান)। আলেকজান্ডার দি গ্রেটের অভিযানে তৃতীয় দারিয়ুসের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই সাম্রাজ্যের।
৩৩০-৩১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ
আলেকজান্ডার দি গ্রেটের পারস্য বিজয়ের মধ্য দিয়ে সূচনা হয়
হেলেনীয় সময়কাল
৩৩০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মেসিডোনিয়ার রাজা ও হেলেনিক লীগের প্রধান আলেকজান্ডার দি গ্রেটের পারস্য বিজয়ের মধ্য দিয়ে হেলেনীয় সময়কালের সূচনা হয়। মেসিডোনিয় সাম্রাজ্য হিসেবে যাত্রা শুরু হলেও আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তার সহযোগীরা নিজেদের মধ্যে সাম্রাজ্যের অংশগুলো ভাগ করে নিলে গড়ে ওঠে সেলিউসিড, আত্তালিড, টলেমিয় ইত্যাদি সাম্রাজ্যের। কিন্তু সাংস্কৃতিক দিক থেকে গ্রিস ও মেসিডোনিয়ার প্রভাব ছিল। পাশাপাশি স্থানীয় সংস্কৃতিকেও আত্মীকরণ করে নিয়েছিল সাম্রাজ্য ও রাজ্যগুলো।