বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০১৪: নির্বাচিত ১০

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ২০১৪: নির্বাচিত ১০

১০. ব্ল্যাক সি ডেভিল মাছ

কীর্তিঃ প্রথমবারের মতো জীবিত ব্ল্যাক সি ডেভিল মাছের গতিবিধি ক্যামেরায় ধারণ করা সম্ভব হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ মন্টারে বে অ্যাকুয়ারিয়াম রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

প্রভাবঃ দুর্লভ এ মাছ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

০৯. নিউরোসিন্যাপটিক চিপ

কীর্তিঃ মানুষের মস্তিষ্কের নকশা অনুকরণ করে চিপ তৈরি করা হয়েছে। এটি বর্তমান যেকোন প্রযুক্তির চেয়ে খুব অল্প শক্তি খরচ করে ছবি ও শব্দ প্রসেস করতে পারে।

যাঁদের অবদানঃ আইবিএমের (IBM) প্রকৌশলী দল।

প্রভাবঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক কম্পিউটিংকে সহজ করবে।

০৮. ফটোসিনথেসিস হ্যাক

কীর্তিঃ শৈবালের সালোকসংশ্লেষণের গতি বাড়িয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বৈজ্ঞানিক দল।

প্রভাবঃ ফসলের উৎপাদন বাড়িয়ে দেবে, যা অতিরিক্ত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

০৭. কিলোবট

কীর্তিঃ প্রথমবারের মতো কোন মানুষের সাহায্য ছাড়া ছোট আকারের রোবটের দল দিয়ে ছোট পরিসরে কনস্ট্রাকশনের কাজ করানো সম্ভব হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক দল।

প্রভাবঃ ভবিষ্যতে মানুষের সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়াই রোবটরা একে অপরের সাথে সহযোগিতা করে কাজ করতে পারবে।

০৬. জিডিএফ- ১১ প্রোটিন

কীর্তিঃ কম বয়সী ইঁদুরের রক্ত ব্যবহার করে বয়স্ক ইঁদুরের পেশি ও মস্তিষ্ককে আবারো কর্মক্ষম করে তোলা সম্ভব হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ হার্ভার্ড স্টেম সেল ইনস্টিটিউট।

প্রভাবঃ বার্ধক্য প্রতিরোধের উপায় বের করতে সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

০৫. নতুন নিউক্লিওটাইড

কীর্তিঃ ই কোলাই ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএতে নতুন নিউক্লিওটাইড যোগ করা হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ স্ক্রিপস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক দল।

প্রভাবঃ নতুন ধরনের অ্যামিনো এসিড তৈরিতে কাজে লাগবে, যা ঔষধ শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

০৪. অপটোজেনেটিক্স

কীর্তিঃ আলো ব্যবহার করে ইঁদুরের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করা সম্ভব হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক দল।

প্রভাবঃ ভবিষ্যতে মস্তিষ্কের সমস্যা ও ব্যথার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।

০৩. বেটা সেল

কীর্তিঃ বেটা সেল (অগ্ন্যাশয়/প্যানক্রিয়াসের যে কোষগুলো থেকে ইনসুলিন নির্গত হয়) তৈরির উপায় উদ্ভাবিত হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ হার্ভার্ড স্টেম সেল ইনস্টিটিউট।

প্রভাবঃ ডায়াবেটিস গবেষণায় অভূতপূর্ব ভূমিকা রাখবে।

০২. ডাইনোসরের বিবর্তন

কীর্তিঃ বিলুপ্তি থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য কীভাবে অনেক ডাইনোসর বিবর্তিত হয়ে পাখিতে পরিণত হয়েছে, তার উপর বড় আকারের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

যাঁদের অবদানঃ সারা বিশ্বের প্রায় ২০০ বিজ্ঞানী।

প্রভাবঃ বিবর্তনবাদকে সমৃদ্ধ করবে।

০১. ধুমকেতুতে অবতরণ

কীর্তিঃ নভেম্বরের ১২তারিখ রোজেটা স্পেসক্রাফটের ফিলে ল্যান্ডার ‘Comet 67P/Churyumov-Gerasimenko’ নামক ধুমকেতুতে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। ইতিহাসে এমন অবতরণ এটাই প্রথম।

যাঁদের অবদানঃ ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।

প্রভাবঃ ধুমকেতুর বিবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে, যা মহাকাশ বিজ্ঞানে বিশাল মাইলফলক।